কাপ্তাই হ্রদে পানি কম, বিদ্যুৎকেন্দ্রে মাত্র একটি ইউনিট সচল

গত সপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং প্রচণ্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমছে। একইসঙ্গে হ্রাস পাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৫টি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট সচল রয়েছে। ফলে বাড়ছে লোডশেডিং। এর মধ্যে গত কয়েক ধরে পড়েছে ভ্যাপসা গরম। এতে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের জানান, কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে একটি ইউনিট চালু রয়েছে। ৫টি ইউনিট থেকে দৈনিক ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও পানির অভাবে প্রতিদিন ২২-২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র

রুলকার্ভ অনুযায়ী এসময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৮.৮৬ এমএসএল (মিন সি লেভেল) বর্তমানে পানি আছে ৭৬.০৮  এমএসএল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে আসা ময়লা, আবর্জনার কারণে এবং হ্রদের আশেপাশে বসবাসরতদের নির্বিচারে বর্জ্য ফেলায় হ্রদের গভীরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পানির অভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবক’টি ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেছে।

কাপ্তাই ইঞ্জিন চালিত বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিছ জানান, বর্তমানে হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। হ্রদের বিভিন্ন স্থানে জেগে ওঠা চরে ইঞ্জিন চালিত বোট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। হ্রদে পানি বৃদ্ধি না হলে নৌযান চালকরা কাজ করতে পারবেন না।