পাহাড়ধসের ঝুঁকিতেও আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে আপত্তি

রাঙামাটিতে কয়েকদিন যাবৎ থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে পাহাড়ধসের শঙ্কা বেড়েছে। এজন্য পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করা হলেও কেউ সেখান থেকে আসছেন না। এজন্য রবিবার বিকালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে বসবাসকারীরা সরে না এলে কঠোর পদেক্ষেপের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। রাঙামাটি পৌর এলাকায় ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রবিবার সকাল থেকে শহরের রূপনগর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট। নিরাপদ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে তাঁবু। পাশাপাশি চলছে মাইকিং।

রূপনগর এলাকার বাসিন্দা রহিমা বেগম বলেন, ‘আল্লাহ মরণ রাখলে এখানে মরুম, কই যামু। যে বৃষ্টি পড়ছে তাতে আশ্রায় কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। আরও বেশি বৃষ্টি হলে তখন দেখা যাবে।’

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা ফাতেমা বিবি বলেন, ‘আমরা যেখানে আছি এইটা ঝুঁকিপূর্ণ না। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে, যখন বৃষ্টি বেশি পড়বে তখন ঘর থেকে বের হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাব। এখন যাওয়ার দরকার নেই।’

স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের দাবি, বসবাকারীরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বার বার বলার পরও বিভিন্নভাবে তারা টালবাহানা করছে। যুব রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক রিকু চাকমা বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে প্রশাসনের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনদের সচেতন করছি। একই সঙ্গে তাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতেও আহ্বান করেও কাজ হচ্ছে না। নিরাপদ স্থানে তাঁবু তৈরি করা হলেও সেখানেও কেউ আসছেন না।’

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন বলেন, ‘আমরা গতকাল রাত থেকে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করছি। অনেকে আসছেন আবার অনেকে আসছেন না। বিকালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে কেউ যদি সরে না আসে তাহলে আইন প্রয়োগ করতে বাধ্য হবো আমরা।’