আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়ায় ৩ যাত্রী ফেরি থেকে নদীতে

ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তাড়াহুড়া করে ফেরিতে উঠতে গিয়ে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যদের ধাওয়ায় তিন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে তারা সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। রবিবার (২৫ জুলাই) সকালে ইলিশা ঘাটের কলমীলতা ফেরিতে ওঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। ফেরিটি ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী হাট ঘাট রুটে চলাচল করে। সেখান থেকে যাত্রীরা ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেন।

নদীতে পড়ে যাওয়া তিন যাত্রীদের একজন রুবেল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। রবিবারের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে তার চাকরিটা থাকবে না। জরুরি ভিত্তিতে ঢাকা যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। কোস্টগার্ডের ধাওয়া ও যাত্রীদের চাপে তিনি নদীতে পড়ে যান। এতে তার প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ভিজে গেছে।

Bhola Pic (2) 25.07.21ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে ইলিশা ফেরিঘাটে সকাল থেকেই যাত্রীদের চাপ ছিল। তাদের বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। ঘাটে ফেরি আসার এক পর্যায়ে যাত্রীরা আমাদের বাধা অতিক্রম করে ফেরিতে উঠতে যান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গতিরোধ করলে যাত্রীদের চাপে ঘাটের গ্যাংওয়ে থেকে তিন জন নদীতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।’

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘ভোলার ফেরি ও লঞ্চঘাটে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি টিম, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন। বিদেশগামী যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ফেরিতে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ’র দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বলা হয়েছে। তারাও যাত্রী পারাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।’

ইলিশা নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে আজ রবিবার ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাটে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলাগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ইলিশা ফেরিঘাটে আসা যাত্রীদের আমরা বুঝিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানোর জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেক যাত্রী আমাদের বাধা উপেক্ষা করে ফেরিতে ওঠার চেষ্টা করছেন।’