স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ধর্ষক ও মাতবরের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার মুরাদনগরে স্কুলশিক্ষার্থী এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কাশেম মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গ্রাম্য মাতবরদের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিবারের লোকজনকে গ্রামছাড়া করার হুমকির অভিযোগও উঠেছে। ঘটনার ১৪ দিন পর চার গ্রাম্য মাতবর, অভিযুক্ত ধর্ষকসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান। অভিযুক্ত কাশেম মিয়া পালাসুতা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে।

অভিযোগ ও সরেজমিন জানা যায়, ভুক্তভোগী মুরাদনগর উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১২ আগস্ট দুপুরে বাড়ির আঙিনায় ছাগলকে ঘাস খেতে দিয়ে ফেরার সময় কাশেম মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে কিশোরীর মা-বাবা স্থানীয় মাতবরদের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। তারা কোনও সহযোগিতা না করে উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন, স্থানীয় মাতবর হযরত আলী হর্জন, নুরুল ইসলাম ও মনির হোসেন ভুক্তভোগী পরিবারকে কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার কথা বলেন।

বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পুরো পরিবারকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন তারা। বিচার না পেয়ে উল্টো ওই পরিবারটি ভিত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে পেরে পুলিশকে অবহিত করেন। তারা বুধবার রাতে ওই পরিবারটিকে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে গ্রামের চার জন মাতব্বরসহ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে ধর্ষক কাশেম মিয়া ও মাতবররা পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’