জেলেদের জালে সমুদ্রের সবচেয়ে দ্রুতগামী ৭ মাছ

পটুয়াখালীর মহিপুরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে আট মণ ওজনের সাতটি পাখি মাছ। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কালাম উল্লাহ নামের এক মাঝির জালে পাঁচটি ও সোবাহান নামের আরেক মাঝির জালে দুইটি মাছ ধরা পড়ে। এরমধ্যে তিনটির ওজন ৬০ কেজি করে, একটির ওজন ৪৫ ও বাকি তিনটির ওজন ৩১ কেজি করে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে মাছগুলো মৎস্য বন্দর মহিপুরের এমকে ফিশ নামের গদিতে বিক্রি করতে আনা হয়। মাছগুলো দেখতে সেখানে ভিড় জমান স্থানীয়রা। কেউ কেউ মাছের পিঠের গোলপাতার মতো পাখনা মেলে পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।

মাঝি কালাম উল্লাহ বলেন, ‘দ্রুতগামী এ পাখি মাছ এর আগে কখনও আমাদের জালে ধরা পড়েনি। মাছের ওজন বেশি হওয়ায় ঘাটে নিয়ে আসতে আমাদের বেশ কষ্ট হয়েছে।’

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মাছগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ার দেশের বাইরে বেশ চাহিদা রয়েছে। এর ইংলিশ নাম সেইল ফিশ।

বরিশাল মৎস্য অধিদফতর সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম জানান, এটি সাগরের সবচেয়ে দ্রুতগামী মাছ। ঘণ্টায় ৬৮ মাইল গতিতে ছুটতে পারে। এরা মাংসাশী। একেকটির দৈর্ঘ্য ৬-১১ ফুট হয়। ওজন হয় ১২০-২২০ পাউন্ড। এর দুটি প্রধান উপ-প্রজাতি আটলান্টিক এবং ইন্দো-প্যাসিফিক। সাধারণত ২১-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে এরা বাস করে। এদের সাগরপৃষ্ঠের কাছাকাছি পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘ইদানীং বাংলাদেশের সাগর জলসীমায় এ মাছ পাওয়া যাচ্ছে, যা সন্তোষজনক। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতি বা সাগরের জলজ প্রাণীর জীববৈচিত্র্যের উন্নয়ন হয়েছে। এ মাছগুলো আগের দিনে শুঁটকি করা হতো। এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খাওয়া হয়। এর খাদ্যগুণ অনেক উন্নত।’