হাসপাতালে যাওয়ার একমাত্র সড়ক নদীগর্ভে

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের একমাত্র পাকা সড়কটি সুগন্ধা নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার দুই দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে রোগী, ওই হাসপাতালের স্টাফসহ ওই সড়কে চলাচলকারী সাধারণ জনগণকে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ভাঙন রোধ করে সড়কটি সংস্কারের দাবি করেছেন তারা।

দেহেরগতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, ‘গত শুক্রবার বিকালে ওই সড়কে ফাটল দেখা যায়। শনিবার সকালে হঠাৎ ৫শ’ গজ এলাকাজুড়ে পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে হাসপাতালের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই সড়ক ছাড়া গ্রামবাসীর চলাচলের একটি পথ থাকলেও সেটি দিয়ে অনেকদূর ঘুরে হাসপাতালে যেতে হয়। আর ওই সড়কের প্রশস্ততা কম থাকায় সেখান থেকে রোগী বহনকারী গাড়ি যেতে সমস্যা হবে। তাছাড়া হাসপাতালের কর্মরতদের চাকরিস্থলে যেতে বেড়েছে দুর্ভোগ।’ 

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এর আগে ওই স্থানে ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি কাজের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেললেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। কাজের মান ভালো না হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে। ওই কাজ ভালো হলে এ সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার কথা নয়।’

সুগন্ধা নদীর ভাঙনে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বাবুগঞ্জ উপজেলার মানচিত্র। প্রতিদিন সুগন্ধার বুকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। ইতোমধ্যে উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের চরসাধুকাঠি, বাহেরচর ঘোষকাঠি, উত্তর রাকুদিয়াসহ নদী সংলগ্ন গ্রামের বহু ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সুগন্ধার অব্যাহত ভাঙনে বহু পরিবার তাদের শেষ আশ্রয়টুক হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ভাঙনরোধে দ্রত ব্যবস্থা গ্রণের দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গত আট মাস আগে ওই স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৪০ লাখ টাকার বালি ফেলা হলেও তা কোনও কাজে আসেনি। ঠিকাদারের অনিয়মের কারণে বালির বস্তায় ভাঙন প্রতিরোধ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) থেকেই ভাঙন প্রতিরোধ করে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে। কাজের মান যাতে ভালো হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।’