বগুড়ায় পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে ৬৫ হাজার মানুষ

বগুড়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩টায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যার পানি নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে প্রবেশ করায় সারিয়াকান্দি, ধুনট ও সোনাতলা উপজেলায় অন্তত ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তীরবর্তী ওই তিন উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ৯৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১৬ হাজার ৩২০ পরিবারের ৬৫ হাজার ৩৮০ মানুষকে। ৩৪৭ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় ১৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি, কাজলা, কর্ণিবাড়ি, বোহাইল, হাটশেরপুর, চন্দনবাইশা, কামালপুর, কুতুবপুর ও সদর ইউনিয়নে বেশি ক্ষতি হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে কামালপুর ইউনিয়নের রৌহদহ থেকে ইছামারা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার মাটির বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন মাটিভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা করছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া জানান, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের ১২ হাজার ৭০০ পরিবারের ৫০ হাজার ৮০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। দুর্গত এলাকায় ৭০ মেট্রিক চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান আর্থিক ও অন্যান্যভাবে সহযোগিতা করছেন।