বগুড়ায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কাউট দলের সদস্যরা ব্যান্ড বাজিয়ে ও ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে। প্রধান ফটকে তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে ঢুকতে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে ক্লাসে উপস্থিত হয়। রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৮টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর শিক্ষকরা পাঠদান শুরু করেন।

টানা ১৭ মাস ২৪ দিন পর শিক্ষার্থীদের বরণ করতে এ প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজন ছিল। প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। এ সময় ব্যান্ডদলের সদস্যরা ব্যান্ড বাজিয়ে এবং স্কাউটরা করতালি দিয়ে তাদের স্বাগত জানান।

দুটি ক্লাস শেষে বিদ্যালয় মাঠে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন– জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হজরত আলী, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব মোর্শেদ, প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন প্রমুখ। প্রধান শিক্ষক জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রীদের পাঠদানের সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। কোনও শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকলে তার জন্য আইসোলেশন কক্ষও প্রস্তুত করা হয়েছে।

বগুড়া জিলা স্কুলে সকাল সাড়ে ৭টায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হয়। প্রবেশ গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে ও তাপমাত্রা পরিমাপের পর সব শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হজরত আলী জানান, এ জেলায় তালিকাভুক্ত মোট ৮৬২টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ বিদ্যালয় ৪৩৯টি, কলেজ ৮২টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ২৮টি এবং মাদ্রাসা ৩১৩টি। এর বাইরেও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। সব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মনে পাঠদান নিশ্চিত করতে ১৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা মানার জন্য তদারকি চলছে। শিক্ষার্থী উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ বিদ্যালয়ে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিত ছিল।’

বগুড়ার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ আকতার জানান, জেলার ১২ উপজেলায় মোট এক হাজার ৩৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এবার সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছিল। তবে রবিবার সব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান হয়েছে। কোথায় কোনও সমস্যা হয়নি। শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি সবার সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষার্থী উপস্থিতি ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ।