চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার

বগুড়া শহরতলির গোকুল এলাকায় ইকো পার্কে বেড়াতে আসা জনতাকে হয়রানি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে সদর থানার দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার (ক্লোজ) করা হয়েছে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফয়সাল মাহমুদ রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন– বগুড়া সদর থানার এএসআই (উপ-সহকারী পরিদর্শক) আবদুল্লাহ আল মোস্তফা এবং কনস্টেবল (ড্রাইভার) মাহিদুর রহমান।

অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার পর সদর থানার এএসআই আবদুল্লাহ আল মোস্তফা এবং কনস্টেবল (ড্রাইভার) মাহিদুর রহমান মোটরসাইকেলে সদর উপজেলার গোকুল এলাকায় মম ইন ইকো পার্কে যান। তারা পার্কে আসা জনগণকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে হয়রানি করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে আসা তিন জনকে আটক করে তাদের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ চাঁদা দাবি নিয়ে তাদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আশপাশে থাকা জনগণ পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে ইকো পার্কের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে জনরোষ থেকে বাঁচিয়ে থানায় পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ সুপার সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তীর নির্দেশে দুই পুলিশ সদস্যকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে এএসআই আবদুল্লাহ আল মোস্তফা জানান, তারা মোটরসাইকেলে মম ইন ইকো পার্কের ভেতর দিয়ে পল্লী মঙ্গলের দিকে যাচ্ছিলেন। পার্কের ভেতরে মোটরসাইকেল আরোহী তিন জনের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। কোনও চাঁদা দাবি করা হয়নি। কিছু লোকজন তাদের চিনতে না পেরে বিশৃঙ্খলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘ডিউটির বাইরে কাউকে না জানিয়ে তারা মম ইন পার্কে যান। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত চলছে; সত্যতা পেলে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’