ডুবোচরে আটকে গেলো ৪ শতাধিক পর্যটকবাহী জাহাজ

বঙ্গোপসাগরে ডুবোচরে আটকে পড়েছিল কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজ ‘ফারহান-টু’। ওই জাহাজে সাড়ে চারশর বেশি পর্যটক ছিলেন। সাগরে জাহাজটি একঘণ্টা আটকে থাকে। সে সময় যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহাজটি টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এটি আটকে পড়ে। জাহাজটির বেলা সাড়ে ১২টায় সেন্টমার্টিনে পৌঁছার কথা থাকলেও দুপুর ১টায় পৌঁছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় জোয়ারের পানি কমে যাওয়ায় পর্যটকবাহী জাহাজটি আটকে পড়ে। পরে জোয়ার এলে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছে। এই রুটে জাহাজগুলো বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়ার মিয়ানমারের সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করে চলাচল করে থাকে। ফলে অনেক চালকের এ রুটের ধারণা না থাকায়, মাঝেমধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সভাপতি রশিদ আহমদ বলেন, ‘সাগরে পর্যটকবাহী জাহাজ আটকে থাকার খবর পেয়ে দ্বীপ থেকে ট্রলারসহ বেশ কিছু স্পিডবোট পাঠানো হয়েছিল।’ 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে অধিকাংশ জায়গায় নতুন চরের কারণে মাঝেমধ্যে জাহাজ আটকে পড়ে। আমরা চরগুলো চিহ্নিত করে চর ড্রেজিং করতে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছি।’