কলার পিঠা খেয়ে ৩৪ জন হাসপাতালে

কলা দিয়ে তৈরি পিঠা খেয়ে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ৩৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। সোমবার রাত ৩টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্তরা উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের উত্তর গণেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই আত্মীয়-স্বজন।

স্থানীয় সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, প্রতি বছর শীতে ওই পরিবারটি পিঠা উৎসব করে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে খাওয়ায়। এবারের আয়োজনে ছিল কলা পিঠা। কলা দিয়ে পিঠা তৈরি করে ওই গ্রামের কৃষক সালাহ উদ্দিন এই উৎসবের আয়োজন করেন। পিঠা খেয়ে তিনিও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালাউদ্দিন বলেন, প্রতি বছর পারিবারিকভাবে পিঠা উৎসবের আয়োজন করি। কখনও সমস্যা হয়নি। এবার যে কেন এমন হলো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার স্ত্রী, মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ সবাই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে এখন আমরা অনেকটাই সুস্থ।

ডায়রিয়ায় আক্রান্তরা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় কলা দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়। সোমবার সকাল থেকে এসব পিঠা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে সবাই পিঠা খান। পিঠা খেয়ে রাত থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে থাকেন তারা। সবারই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, ঘন ঘন পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ফাতেমা বেগম বলেন, পুরো হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি। তাদের স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা উন্নতির দিকে।

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসান আল তুরাবী বলেন, ৩৪ জনের মধ্যে দুই জনের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরে পাঠানো হয়েছে। খাবারে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন থেকে এটি হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে ভয়ের কিছু নেই। আক্রান্তরা দু-একদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে।