আরও বেশি উৎপাদনশীল ধানের জাত আবিষ্কার হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী

বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন যেভাবে এগিয়ে চলেছে, তা অব্যাহত থাকলে সারা বিশ্বে প্রতিযোগিতায় যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মনে করি কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি করে শুধু স্বয়ংসম্পন্ন নয়, উদ্বৃত্ত হবো। উদ্বৃত্ত বিভিন্ন ফসল, বিশেষ করে যেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলা হয়, সেসব বিদেশে রফতানি করবো। আমাদের বিজ্ঞানীরা আগের চেয়ে আরও বেশি উৎপাদনশীল ধানের জাত আবিষ্কার করেছেন’

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ক্যাম্পাসে আধুনিক শ্রমিক কলোনি বহুতল বিশিষ্ট ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি কৃষি শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মেধা ও মনন আর কৃষি শ্রমিকদের শ্রম ও ঘামে দেশে শতাধিক উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১০০-এর বেশি ধানের জাত বাংলাদেশকে দিয়েছে। লবণাক্ততা, পানির জলমগ্নতাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে যাতে ধানের ভালো আবাদ করা যায় সে ধরনের ধানের জাত আমরা পেয়েছি। আগের যে জাতগুলো বাংলাদেশের ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে, তার চেয়েও অনেক বেশি উৎপাদনশীল জাত ব্রির বিজ্ঞানীরা এখন আবিষ্কার করেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গম, ভুট্টা, শাকসবজি ফলমূলসহ প্রতিটি ফসলে নতুন নতুন প্রযুক্তি দিচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত জাত এবং কম খরচে কিভাবে বেশি উৎপাদন করা যায় সেগুলো আমরা উদ্ভাবন করেছি।’

উদ্বোধনকালে তার সঙ্গে ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব (বিদায়ী) মেজবাহুল ইসলাম, নবনিযুক্ত কৃষি সচিব সাইদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, ব্রি’র মহাপরিচালক শাহজাহান কবিরসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, উপসচিব এবং ব্রি’র বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের প্রধানরা।