৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আটকে রাখা তিন শ্রমিককে উদ্ধার

জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন পেয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পিবিএম নামে এক ইটভাটায় আটকে রাখা তিন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানান বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।

ওসি বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন শ্রমিককে উদ্ধার করি। পরে সেখান থেকে এক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করছি। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

উদ্ধার তিন শ্রমিক হলেন– সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানার শহিদুল ইসলামের ছেলে মাজহারুল ইসলাম(২৩), একই এলাকার আরশাদ আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৩০) এবং মোমরেজ মিয়ার ছেলে আবু বকর (৪০)।

ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা বেশ কিছুদিন যাবৎ এই ইটভাটার কাজ করে আসছি। আমাদের মজুরি বাবদ ৪৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু পাওনা টাকা নিয়ে টালবাহানা শুরু করে মালিকপক্ষ। পরে বাধ্য হয়ে কর্মক্ষেত্র ত্যাগ করে চলে যেতে চাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মালিকপক্ষের নির্দেশে ম্যানেজার একটি বদ্ধ স্থানে আটকে রেখে জোর করে কাজ আদায় করে। পরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আমরা ‘৯৯৯’-এ কল করলে পুলিশ দ্রুত এসে আমাদের উদ্ধার করে।’

এ ঘটনায় ইটভাটার ৪ মালিক সহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন– প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী বন্দরের দাসেরগাঁও এলাকার মোস্তফা মিয়ার ছেলে মামুন হোসেন (৩০), ফনকুল এলাকার মো. হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান (৩০), তাহের আলীর ছেলে মোসলেম উদ্দিন(২৮), হাকিম আলীর ছেলে মো. রাজন (৩৫), ম্যানেজার জসিম উদ্দিন ও মতিউর রহমান।