বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ

বরিশাল নদীবন্দরে টার্মিনালে টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বন্দরের স্টাফদের বিরুদ্ধে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার বিচার চেয়ে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বন্দর ভবন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে বরিশাল নদী বন্দরে প্রবেশ মুখে দশ টাকা মূল্যের টিকিট কাটা নিয়ে নৌ-স্টাফদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তিন শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, টিকিট কেনার পর না ছিঁড়েই পরে একই টিকিট কালোবাজারি করে অন্য যাত্রীদের মাঝে বিক্রি করা হয়। এর প্রতিবাদ করলে তিন শিক্ষার্থীকে নৌ-বন্দরের স্টাফরা মারধর করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা।

নদীবন্দরে যাত্রীদের হয়রানির কথা স্বীকার করে বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এর আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এখন বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে জড়িতদের।

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রক্তিম হাসান বলেন, ‘বরিশাল নৌ-বন্দরে গেট টিকিট কিনে তা জমা দেওয়া হলে গেটের লোকজন সেটি পকেটে রেখে দেন। ওই টিকিট তাদের হাত ঘুরে আবার কাউন্টারে যায়। সেখান আবার তা যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে যখন শিক্ষার্থীরা কথা বলেছে, তখনই তারা হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তিন কার্যদিবস সময় চেয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’

এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি সুরভী লঞ্চে যাত্রীদের মারধর করেন লঞ্চের স্টাফরা। সেই ছবি তুলতে গেলে দুই চিত্র সাংবাদিককে পেটানো হয়।