শিকারির হাত থেকে মুক্তি পেলো ২৩ পাখি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বন্দিদশা থেকে ২০টি ঘুঘু, একটি শালিক ও দুটি টিয়া পাখি উদ্ধার করেছেন অ্যানিম্যাল লাভারস অফ কলাপাড়ার সদস্যরা। এ সময় পাখি শিকারের তিনটি ফাঁদও উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়নের নেওয়াপাড়া গ্রামের পাখি শিকারি রাহাতুল ও জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে এসব পাখি উদ্ধার করা হয়।

কলাপাড়া উপজেলা বন বিভাগের কাছে উদ্ধার পাখি এবং ওই দুই শিকারিকে হস্তান্তর করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শনিবার বিকালে পাখিগুলো অবমুক্ত করেন কলাপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুদস সালাম। এ সময় ওই দুই পাখি শিকারির কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– অ্যানিম্যাল লাভারস অফ কলাপাড়া সদস্য নজরুল ইসলাম, রাকায়েত, হাসান ও রাতুলসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

অ্যানিম্যাল লাভারস অফ কলাপাড়ার সদস্যরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে রাহাতুল ও জাহিদুল ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে আসছে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে এসব পাখি উদ্ধার করা হয়। ২০টি ঘুঘুর মধ্যে ৪টি বাচ্চা ঘুঘু বন কর্মকর্তার জিম্মায় রয়েছে। এ ছাড়া ৬টি দল ঘুঘু, ১০টি দেশি জাতের ঘুঘু, একটি শালিক ও দুটি টিয়া পাখি বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। 

তারা জানান, এর আগে তারা একটি বানর পায়রা বন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

কলাপাড়া উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুস সালাম জানান, পাখি শিকার করবে না মর্মে মুচলেকা রেখে কিশোর রাহাতুল ও জাহিদুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাইকে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পাখি শিকার ও পালা ৩৩/খ ধারা মোতাবেক শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’