মিরসরাইয়ে কালবৈশাখীর ব্যাপক তাণ্ডব

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ফসল, ঘরবাড়ি ও বৈদ্যুতিক খুঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। ঝড়ো হাওয়ায় কয়েকটি ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। বোরো ধান, ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুল, আম ও ইটভাটার কাঁচা ইটের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে বজ্রপাতে আতঙ্কিত হয়ে উপজেলার বড়তাকিয়া বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন সওদাগর। তার নাতি খান মো. মোস্তফা বলেন, ‘সকালে বজ্রপাতের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আমার দাদা মারা যান।’

জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে মিরসরাই সদর ইউনিয়ন, দূর্গাপুর, ওয়াহেদপুর, কাটাছরা ইউনিয়নসহ কয়েকটি জায়গায় ব্যাপকভাবে গাছপালা উল্টে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে গাছপালা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী সাইফুল আহমেদ বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় বিদ্যুতের তারের ওপর বড় বড় গাছ পড়ে কমপক্ষে ১০টি খুঁটি ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’ ভেঙে যাওয়া খুঁটি পরিবর্তন করে গাছ সরিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা বলেন, ‘হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় একশ হেক্টর বোরো ধান জমিনে নুয়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পানি জমে গেছে।এ ছাড়া ভুট্টা, সূর্যমুখী ফুল ও আমের ক্ষতি হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘সকালের দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে মিরসরাইয়ে বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। এজন্য কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ নেই। সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত দুটি জায়গা থেকে ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’