মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিলেন সৎ-বাবা, লাউক্ষেতে মিললো লাশ

বগুড়ার শাজাহানপুরে সামিউল ইসলাম (১০) নামে এক শিশুকে মাদ্রাসা থেকে সৎবাবা ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর লাউক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সকালে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের মানিকদীপা উত্তরপাড়া গ্রামের লাউক্ষেত থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে শাজাহানপুর থানা পুলিশ।

সামিউল উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

পুলিশ, শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শিশু সামিউল উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর সামিউলের মা সালেহা খাতুন কিছু দিন আগে একই এলাকার ফজলুল হককে বিয়ে করেন। শিশুটি সাজাপুর তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে পাশের খড়না ইউনিয়নের মানিকদীপা গ্রামে লাউক্ষেতের বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানা পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু মুসা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সৎবাবা ফজলুল হক শিশু সামিউলকে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিয়ে যান।

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

বিকালে এ খবর পাঠানোর সময় পুলিশ শিশুটির সৎবাবা ফজলুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল।

এর আগে, গত ১৪ মে শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রাম হিন্দুপাড়ার বাঁশঝাড় থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বাঁশের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার অর্ধঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। গত চার দিনে পুলিশ তার পরিচয় বের করতে পারেনি। ১৬ মে লাশ দাফনের জন্য আঞ্জুমান-ই-মফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে।