ননী-তাহেরের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে নেত্রকোনায় আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোনা সদর থানার আলোচিত হত্যাকাণ্ড বদিউজ্জামান মুক্তা হত্যার দায়ে আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের ফাঁসির  রায় ঘোষণায় নেত্রকোনায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

রায় ঘোষণার পরপরই নেত্রকোনা শহরের মোক্তারাপাড়াস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা ও নিহতের পরিবারসহ শহরের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইতে শুরু করে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান এবং আনন্দ মিছিল বের করেন।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত শহীদ বদিউল আলম মুক্তার ভাইপো ও মামলার বাদী আলী রেজা কাঞ্চন বলেন,আমরা অনেক খুশি হয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা কিন্তু রায় যতোদিন কার্যকর হবে না ততদিন আমাদের স্বস্তি নেই।

তিনি আরও বলেন, মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই এই মামলার স্বাক্ষী ও আমি  নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। তাই সরকারের কাছে দাবি  রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় এবং আমাদের  নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।

নেত্রকোনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নূরুল আমিন জানান, রায় ঘোষণার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা উল্লাস করেছেন। জেলার সব যুদ্ধাপরাধ মামলার অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ডের রায় নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।।

উল্লেখ্য, ১২ জনকে আসামি করে ২০১০ সালের ১২ আগস্ট নিহতের ভাইপো মো. আলী রেজা কাঞ্চন বাদী হয়ে নেত্রকোনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুন্যাল তদন্ত শেষে মামলার অন্যতম দুই আসামি আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরকে গ্রেফতার করে।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন শহিদুল্লাহ পিন্টু, শহিদুর রহমান মাজু, ফজলুর রহমান, ইউসুফ, মিষ্টার মিয়া, হাফিজ উদ্দিন মীর, আব্দুল ওয়াহাব খান রুনু ও মানিক মিয়া। তাদের মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন এবং একজন আসামি আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

/বিটি/টিএন/