মুহুরী নদীর পানি কিছুটা কমেছে, তবে শঙ্কা কাটেনি

ফেনীর মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১.২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য ফুলগাজী বাজারসহ ওই এলাকার ১০ গ্রামের মানুষের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে আবার যেকোনও সময় পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।

বুধবার  (২২ জুন) দুপুর ১২টায় মুহুরী নদীতে পানিপ্রবাহ ছিল ৫১.৪০ মিটার। বিপৎসীমা ৫২.৬০ মিটারের ১.২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবোর ফেনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, ‘নদীর পানি অনেক কমে এসেছে। আজ দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি সব সময়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধ মেরামত করা হবে।’

নদীর পাড়ের বাসিন্দারা বলেছেন, ‘নদীর পানি কমায় আমাদের বাড়ি থেকে পানি নেমে গেছে। তবে দুর্ভোগ এখনও কমেনি। তবে গোটা এলাকা কাদাময় রয়েছে। আবার উজান থেকে ধেয়ে আসা ভারতের পানি কখন সবকিছু ডুবিয়ে দেবে তা বলা মুশকিল।’

ফুলগাজী ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম বলেন, ‘পানি কমেছে। তবে কতক্ষণ এ অবস্থা থাকে সেটিই দেখার বিষয়। বৃষ্টির পানির চেয়ে উজান থেকে নেমে আসা পানিই তিস্তা নদীর অবস্থার পরিবর্তন করে। তাই বর্ষা এলে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। কখন সবকিছু ডুবিয়ে নিয়ে যাবে।’

পাউবো ফেনীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গৌরপদ সূত্রধর বলেন, ‘এ মুহূর্তে কিছু করার নেই। পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করার জন্য একটি প্রকল্প পাস হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর চারটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, মাছের ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার।