সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন জেলার ১৮০-এর বেশি গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন হয়েছে। শনিবার (৯ জুলাই) সকালে মুসল্লিরা ঈদ জামাত শেষে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেন।
চট্টগ্রামের প্রতিবেদক জানান, জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামে আজ ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখিল দরবার শরিফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন মির্জাখিল দরবার শরিফের পীর মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাইয়ের বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান। ঈদের নামাজে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা দরবার শরিফের মুরিদরা অংশ নিয়েছেন।
দরবার শরিফের মুরিদ নজমুল করিম চৌধুরী জানান, দরবার শরিফের মুরিদরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন। পীরের অনুসারীদের উপস্থিতিতে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখিল দরবার শরিফে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত। সাতকানিয়ার মির্জাখিল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, মাদার্শা, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখিল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করেন। এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে একইভাবে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।
মাদারীপুর প্রতিনিধি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল আজহা পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের চর কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হজরত সুরেশ্বরী (রা.)-এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের তিন উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদের জামাতে অংশ নেন। পরে তারা পশু কোরবানি করেন।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, জেলার ১৫ গ্রামের মানুষ ঈদুল আজহা পালন করেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাওখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন তারা। ঈদের নামাজে নারীরাও অংশ নেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা আল্লার নৈকট্য লাভের আশায় বাড়িতে গিয়ে পশু কোরবানি করেন।