সড়কে প্রাণ গেলো প্রাইভেটকারের ৪ যাত্রীর

বগুড়ার কাহালুতে প্রাইভেটকার ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত এবং একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে ওই উপজেলার দরগাহাট কালিয়াপুকুর এলাকায় বগুড়া-নওগাঁ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন এবং ছিলিমপুর মেডিক্যাল ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লালন হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন– নওগাঁর ধামুইরহাটের জগৎনগর এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে আবদুর রহমান (৩৫)। শাকিল (২০) নামে গুরুতর আহত একজন একই এলাকার মিরাজুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নওগাঁর ধামুইরহাট থেকে একটি প্রাইভেটকার বগুড়ার দিকে আসছিল। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কারটি বগুড়ার কাহালু উপজেলার দরগাহাট কালিয়াপুকুর এলাকায় পৌঁছে। সে সময় নওগাঁগামী দ্রুতগতির একটি পিকআপের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে কারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কারটি গুঁড়িয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তিন জন নিহত এবং দুজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত আবদুর রহমান ও শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান।

এএসআই লালন হোসেন জানান, এক স্বজনের চিকিৎসার জন্য নওগাঁর ধামুইরহাট থেকে প্রাইভেটকারে হতাহতরা বগুড়ায় আসছিলেন। চিকিৎসাধীন শাকিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বেলাল হোসেন জানান, বগুড়ার শেরপুরের ঘোগাব্রীজে শুক্রবার বিকালে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত গৃহবধূ বিলকিস বেগম (৩০) ওইদিন রাত ৯টায় শজিমেক হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মশিউর রহমানের স্ত্রী। এর আগে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মশিউরও মারা যান। ওই দম্পতি সুন্দরগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে আরও দুজন নিহত হন।