একদিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার কাঁচা মরিচ ২৮০

পেঁয়াজের দাম ওঠানামার মধ্যে থাকলেও খুলনায় হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। যা একদিন আগেও ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। হঠাৎ এক লাফে ২৮০ টাকা হয়ে গেলো। 

শনিবার সকালে খুলনার বিভিন্ন বাজারে ২৮০ টাকা কেজি ধরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীদের। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে মরিচের  সরবরাহ কম। এজন্য পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। 

নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত একদিন আগে প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

নগরীর বাসিন্দা সোহেল আহম্মেদ বলেন, প্রতি মাসে আমার পরিবারে এক কেজি কাঁচা মরিচের প্রয়োজন হয়। সকালে বাজারে এসে দেখি, ১০০ গ্রাম ২৮ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম বাড়তি, খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের।

কাঁচা বাজার করতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, এখন প্রতিদিনই কোনও না কোনও জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু আমাদের তো আয় বাড়ছে না। দাম বাড়েনি এমন কোনও জিনিস খুঁজে পাওয়া যাবে না। ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ২৮ টাকায় কিনেছি আজ। 

সিমেট্রি রোডের কাঁচামাল বিক্রেতা জয়দেব সাহা বলেন, কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করেছি। গতকালও একই দামে বিক্রি করেছি। আজ ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কেনা বেশি দামে। 

নগরীর পাইকারি ব্যবসায়ী নিকাশ রায় বলেন, আড়তে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। এক পাল্লা (৫ কেজি) এক হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ১২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সরবরাহ কম থাকায় হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। 

ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের ব্যবসায়ী ছগির হোসেন বলেন, গত চার মাস ধরে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে না। এতদিন অল্প অল্প বাড়লেও হঠাৎ একদিনের ব্যবধানে ১৪০ টাকার কাঁচা মরিচের কেজি ২৮০ টাকা হয়ে গেছে। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।

ট্রাক টার্মিনালের পাইকারি কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মো. কবির আহমেদ বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই কাঁচা মরিচের দাম বাড়তি। এতদিন ১০০ টাকা কেজি পাইকারি বিক্রি করলেও সরবরাহ কমায় আজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করছি। কিন্তু খুচরা বাজারে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বছর এ সময়ে বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছ মারা যায়। ফলে বেড়ে যায় দাম। অন্যান্য বছর এ সময়ে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হয়। এ বছর ভারতেও বেশি দাম থাকায় অনেকে আমদানি করছেন না।