ধ্বংস হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের ৩৮২ কনটেইনার পণ্য

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৩৮২টি কনটেইনার পণ্য রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে ধ্বংস করা হবে। এসব কনটেইনারে ধ্বংসযোগ্য পণ্যের মধ্যে আছে– পেঁয়াজ, আদা, আপেল, ড্রাগন ফল, কমলা, আঙুর, হিমায়িত মাছ, মহিষের মাংস, মাছের খাদ্য, লবণ, রসুন, সানফ্লাওয়ার অয়েল ও কফি ইত্যাদি।

ধ্বংসযোগ্য কনটেইনারের মধ্যে রয়েছে ১৩৬টি বন্দরে রেফার্ড কনটেইনার, ৩২টি ড্রাই কনটেইনার। বাকি ২১৪টি বিভিন্ন অফডকে থাকা ড্রাই কনটেইনার।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, এসব পণ্য চালান ধ্বংসের জন্য নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. মুসফিকুর রহিম। সদস্য সচিব করা হয়েছে কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেনকে। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন করে প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গাকে এসব পণ্য ধ্বংসের স্থান হিসেবে অনুমোদন দেয় পরিবেশ অধিদফতর। 

পণ্য ধ্বংস কমিটির সদস্য সচিব বলেন, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোনও জায়গা নেই। এ কারণে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। ওই জায়গা খুঁড়ে পচে যাওয়া পণ্য ফেলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিচাপা দেওয়া হবে। এ কারণে কোনও দুর্গন্ধ ছড়াবে না।’

এদিকে, শনিবার কাস্টম হাউস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পণ্যগুলো সবই নিলাম অযোগ্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ। এ কারণে এসব পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৩৮২ কনটেইনার পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস করা হবে। এসব কনটেইনার ভর্তি পণ্য ধ্বংস করা হলে চট্টগ্রাম বন্দরে কিছু জায়গা খালি হবে।’ 

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ধ্বংসযোগ্য এসব কনটেইনার ভর্তি পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। বিদেশ থেকে আনা এসব কনটেইনার ভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।