সড়কে প্রাণ গেলো ৩ সহপাঠীর

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় তিন কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন– যশোর সদর উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে আসিফ ( ১৯), বাজেদুর্গাপুর গ্রামের নাজির আলীর ছেলে আরমান (১৯) ও আলমগীর হোসেনের ছেলে সালমান (১৯)।

নিহতরা সদর উপজেলার নতুনহাট পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।

নিহত সালমানের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এক মোটরসাইকেলে তিন সহপাঠী ঝিকরগাছা থেকে ফিরছিল। পথে নতুনহাট ইটভাটা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দূরপাল্লার একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে আরমান ও আসিফ মারা যায়। সালমানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়।’

আক্ষেপ করে তিনি আরও বলেন, ‘আজ আমার ছেলের কী পরিণতি হলো! আমার আর কেউ থাকলো না! ওদের সুন্দর জীবনের জন্য ১০ বছর বিদেশে থেকেছি।’

স্বজনদের আহাজারিনিহত আরমানের ভাই শিমুল হোসেন বলেন, ‘পাঁচ বন্ধু দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঝিকরগাছা থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে নতুনহাটে বাসের ধাক্কায় তারা ছিটকে পড়ে। এতে আমার ভাই আরমানসহ দুই জন ঘটনাস্থলে মারা যায়। আরেকজন হাসপাতালে মারা যায়। ওদের বাকি দুই বন্ধুকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

এ বিষয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ওসি রুপন সরকার বলেন, ‘মোটরসাইকেল আরোহী তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে হাইওয়ে পুলিশ ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। একজন ঘটনাস্থলে, অপর একজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।’

এদিকে, খবর পেয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘টিন এজার ছেলেরা দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালায়। এ গতির কারণে আজকে তিন কলেজছাত্রের প্রাণ গেলো। আমাদের অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। অল্প বয়সী সন্তানদের চাওয়ামাত্র মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া উচিত নয়। এবং তারা বন্ধুদের সঙ্গে কী করে বেড়াচ্ছে তা নজরে রাখতে হবে। বিশেষ করে, দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ তাহলে অকালে এভাবে সড়কে প্রাণ ঝরবে না বলে জানান তিনি।