ব্যারিস্টার সুমনের দলের ফুটবল খেলা দেখতে এসে ঘর ভেঙে যুবকের মৃত্যু

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল দলের খেলা দেখতে এসে টিনশড ঘর ভেঙে খোরশেদ আলম (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০-২৫ জন।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে পাঁচবিবির শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত খোরশেদ আলম জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার রামাপুর গ্রামের খলিল হোসেনের ছেলে।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, বিদ্যালয়ের ওই ভবনের টিনের চালে ১৫০ জনের বেশি দর্শক বসে খেলা দেখছিলেন। খেলা শুরুর কয়েক মিনিট পর হঠাৎ দর্শকের চাপে টিনের চাল ভেঙে নিচে পড়ে। এতে ২০-২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমির সঙ্গে পাঁচবিবির রাধানগর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলা দেখতে হাজারো দর্শক ভিড় করেন। স্টেডিয়ামে জায়গা না পেয়ে অনেকে আশপাশের উঁচু জায়গায় বসেছিলেন। স্টেডিয়ামের উত্তর দিকে পাঁচবিবি সমিরণ নেছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ভবনের ছাদেও অনেকে চড়ে বসেছিলেন।

বিদ্যালয়ের ওই ভবনের টিনের চালে বসে দেড় শতাধিক লোক খেলা দেখছিলেন। খেলার ১৫ মিনিট পর হঠাৎ দর্শকের চাপে টিনের চাল ভেঙে নিচে পড়ে। এতে ২০-২৫ জন দর্শক আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে মারা যান।

ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, পাঁচবিবির বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন। গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার বিষয়ে মাইকিং করা হয়। শুক্রবার দূরদূরান্ত থেকে ফুটবলপ্রেমীরা পাঁচবিবি পৌর শহরে আসতে শুরু করেন। দুপুর ১টার পর থেকে পাঁচবিবি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের চারদিক দর্শকে ভরে যায়। বিকাল ৪টায় প্রধান অতিথি হিসেবে খেলার উদ্বোধন করেন পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরমান হোসেন, পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান, খেলার আয়োজক মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।