ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মাহমুদার (৩৭) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডসহ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারক নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মনসুর আলম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আফান উদ্দিনের ছেলে।

আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাহমুদার ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে।

এ ঘটনার পরের দিন একই বছরের ১ অক্টোবর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৪ ফেব্রয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার এই সাজা প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রমেন্দ্রনাথ বর্ধণ বাপ্পী জানান, আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। মামলার শুরু থেকে আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা। নিহতের বড় ভাই বলেন, ‘দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। তবে এই মামলার বাদী ছিলেন আমার বাবা। তার মৃত্যু হওয়ায় এই রায় দেখতে পেলেন না।’

সরকার কতৃক নিয়োজিত আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল লতিফ সরকার বলেন, ‘এই মামলায় আসামি পক্ষের লোকজন আদালতে (আসামি পলাতক) উপস্থিত না থাকায় কোনও ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।’