ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কারাগারে

বরিশাল নগরীর বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিকুঞ্জ বিহারী দেবনাথকে প্রায় ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।  রবিবার বিকালে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিচারক আশরাফ উদ্দিন এ নির্দেশ দেন।

গত ২৪ জুলাই কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাসেম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছাড়াও হিসাব সহকারী কাম হিসাবরক্ষক নিরঞ্জনচন্দ্র দেবনাথকে আসামি করা হয়। ওই দুই জন যোগসাজশে কলেজের ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬২ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিস উদ্দিন শহীদ মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘২০০৮ সালের ১ মার্চ থেকে ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে ২নং আসামির সহায়তায় কলেজের ছাত্রীদের বেতনের ১১ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ টাকা ২৪টি রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করেন নিকুঞ্জ বিহারী। কিন্তু তা কলেজের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজ হেফাজতে রাখেন। 

‘পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত ২নং আসামির সহায়তায় ৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৬৬ টাকা কলেজের ব্যাংক হিসেবে জমা না দিয়ে ওই টাকাও নিজ হেফাজতে রাখেন তিনি। একপর্যায়ে কলেজের গভর্নিং বডির গঠিত অডিট কমিটি ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ পুনঃঅডিট প্রতিবেদনে ওই টাকা আত্মসাতের চিত্র তুলে ধরে। এ সময় আসামিরা গভর্নিং বডির সভায় উপস্থিত হয়ে আত্মসাৎ করা টাকা পরিশোধে মৌখিকভাবে অঙ্গীকার করেও টাকা জমা না দিয়ে বার বার ওয়াদা ভঙ্গ করেন।

‘এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ ২০২২ সালের ১৯ মে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। এরপরও আসামিরা টাকা জমা না দেওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। ওই মামলায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাজিরা দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। তবে হিসাবরক্ষক নিরঞ্জনচন্দ্র দেবনাথ আদালতে হাজির হননি।’