ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় আসামি যারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন মিয়া নিহত হন। তিনি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বাঞ্ছারামপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন মামলা দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন: কান্না থামছে না ছাত্রদল নেতা নয়নের স্বজনদের

মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন– উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (৪২), ছলিমাবাদ উত্তরপাড়া এলাকার সাইদুর রহমান (২৫), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামাল (৪৫), পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ইমান আলী (২৭), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক (২৯), আব্দুস সালাম (৪৫), উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার (২৯), উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন (৩২), উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মজিবুর রহমান (৪৫), সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল মোল্লা (২২), সাইফুল হোসেন (৩০), উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রোমান (২৫), রাবি (৩২), পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান জালু (৪৮), উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন (২৪), উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম (৩৮), বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন (৪৮)।

আরও পড়ুন: পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেলো ছাত্রদল নেতার

তাদের মধ্যে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং ছলিমাবাদ উত্তরপাড়া এলাকার ছাত্রদলকর্মী সাইদুর রহমানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) নবীনগর সার্কেল সিরাজুল ইসলাম বলেন,‘গতকাল পুলিশের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করেছেন। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আত্মরক্ষায় পুলিশ গুলিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।