শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবন্দ বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য। সরকারি ও নামীদামি স্কুলে ভর্তির জন্য কোচিং ব্যবসা, ভর্তির সময় ডোনেশন, বিভিন্ন ফিস আদায় করায় নাগরিকদের মাঝে শিক্ষা অধিকারের পরিবর্তে একটি অতি খরচনির্ভর পণ্যে পরিণত হয়েছে। ভর্তি, পুনঃভর্তি, টিউশন ফি, বাই-খাতা ইত্যাদির নামে এত খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যা মধ্যবিত্তের জীবনে মড়ার ওপর খাড়ায় ঘা।’

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ‘ভর্তি, পুনঃভর্তি, টিউশন ও টিসির ফি আদায়ে কোনও নিয়ম-নীতি মেনে চলার নজির পাওয়া যাচ্ছে না। যে যার ইচ্ছামতো টাকা আদায় করে পকেট ভর্তি করছে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষর্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা উপেক্ষা করে যে যার ইচ্ছেমতো আদায় করছে।

তারা আরও বলেন, ‘ডিসেম্বরের আগেই শুরু হয়েছে ভর্তি, কোচিং বাণিজ্য। আবার সরকারি স্কুলের ক্লাসের সঙ্গেই চলছে কোচিং, অথচ এগুলো তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত জেলা শিক্ষা অফিস, শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রশাসন দিবানিদ্রায় মগ্ন।

বিবৃতিতে সই করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারণ সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।