আখাউড়া স্থলবন্দরে ভারতফেরত সন্দেহভাজন যাত্রীদের অ্যান্টিজেন টেস্ট

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন অমিক্রন বিএফ.৭ রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতফেরত যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা নির্ণয় এবং সর্দিকাশি থাকলে সন্দেহভাজন যাত্রীদের করা হচ্ছে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন বিএফ.৭ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ধরা পড়েছে। এ কারণে আখাউড়া স্থলবন্দরে বাড়তি সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ভারতফেরত যাত্রীদের কাছে কোভিড টিকার কার্ড চাওয়াসহ তাদের শারীরিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কারও শরীরে জ্বর, সর্দি-কাশি থাকলে প্রথমে থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তার তাপমাত্রা নির্ণয় করা হচ্ছে। পরে সন্দেহ হলে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। সকাল থেকে একাধিক যাত্রীকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হলেও কারও শরীরে করোনার নতুন ধরনটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

এদিকে যাত্রীরা বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। ভারত থেকে আসা লিয়াকত মাসুদ বলেন, ‘বিএফ.৭ রোধে বাংলাদেশে আসার পর আমাদের করোনার টিকার ছাড়পত্র দেখতে চাচ্ছে। যদি কারও কাছে সেই কাগজ না থাকে তাহলে তাকে অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হচ্ছে। আমরাও সব কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে এসেছি। এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ।’

সৌমেন চট্টোপাধ্যায় নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমাদের ভারতেও করোনার সার্টিফিকেট ও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখতে চায়। এখানেও একই নিয়ম। কাগজপত্রগুলো ঠিক না থাকলে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এটি সরকারের অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কারণ আমরা সচেতন না হলে সরকারের পক্ষে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না।’

আখাউড়া স্থলবন্দরে মেডিক্যাল টিমের দায়িত্বে থাকা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাকিব হাসান ধ্রুব বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, স্থলবন্দরে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের করোনা ও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট দেখে প্রবেশ করাতে হবে। আমরা যাত্রীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখে ছেড়ে দিচ্ছি।’