কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের কয়েকটি গ্রামে গত দুই রাত ধরে ভারতীয় হাতির তাণ্ডব চলছে। হাতির তাণ্ডবে স্থানীয় কৃষকদের কয়েক বিঘা জমির ভুট্টা ও সরিষা ক্ষেতসহ পানি সেচের শ্যালো ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও রবিবার দিবাগত রাতে হাতির পাল স্থানীয় এক বাসিন্দার বসতবাড়ির ক্ষতি সাধন করেছে বলে জানা গেছে। হাতির তাণ্ডবে কয়েকটি গ্রামের কৃষক ও বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন বলে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, গত শনি ও রবিবার (৭ ও ৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলার সীমান্ত এলাকার আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১০৭২-এর কাছ দিয়ে বন্য হাতির পাল ব্যাপক এলাকাজুড়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কৃষকদের ক্ষেত তছনছ করে।
পূর্ব জালচিড়া পাড়া গ্রামের কৃষক শফিউর রহমান শফি জানান, গত রবিবার রাত ৩টার দিকে আন্তর্জাতিক পিলার ১০৭২-এর দক্ষিণ দিকে বর্ডার হাটের পাশ দিয়ে ৩০-৩৫টি হাতি ভারতের কালাইয়ের চর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বালিয়ামারী ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সামনে দিয়ে ঢোকে। এরপর মিয়াপাড়া ও জালচিড়াপাড়া সীমান্তের প্রায় ৫ একর জমির ভুট্টা, সরিষা ও গমের জমি লন্ডভন্ড করে। সঙ্গে তিনটি স্যালোমেশিন দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে।
বালিয়ামারী গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ দেওয়ানী জানান, হাতির পাল তার সরিষার জমি এবং স্যালো মেশিনসহ কমপক্ষে ৫টি শ্যালো মেশিন ভাঙচুর করেছে। সঙ্গে তার জমির আশেপাশের প্রায় ৫ বিঘা জমির ভুট্টা, সরিষা, ধানের বীজতলা, সবজি বাগান ও গমের ক্ষেত পদদলিত করেছে।
রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর ইসলাম বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে রাতের বেলা ভারতীয় সীমান্ত থেকে হাতির পাল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি করছে। হাতির তাণ্ডবের ভয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস বলেন, ‘ভারতীয় হাতির পাল বাংলাদেশের কৃষকদের অনেক ফসলের ক্ষতি করেছে। সেচযন্ত্রও ভেঙে ফেলেছে। আমি বালিয়ামারী বিজিবি কোম্পানি কমান্ডারকে বিষয়টি জানিয়েছি। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে।’