ভেজাল বীজে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষিদের বিক্ষোভ

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভেজাল পেঁয়াজ বীজ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা ক্ষতিপূরণ এবং প্রতারক বীজ ব্যবসায়ীদের শাস্তি দাবি করেছেন। রবিবার দুপুরে শৈলকুপা থানা ও উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক চাষি বিক্ষোভ করেন।

চাষিদের অভিযোগ, বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তি উচ্চ ফলনশীল বলে ভেজাল পেঁয়াজ বীজ বিক্রি করে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বীজ চার হাজার টাকা থেকে সাত হাজার টাকা দরে বিক্রি করে তারা। এ বীজ কিনে চাষিরা চারা তৈরি করে ক্ষেতে লাগানোর পর চারা মরে গেছে। এতে চাষিদের বিঘা প্রতি ২০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা করে ক্ষতি হয়েছে।

শৈলকুপা উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক বিজন বিশ্বাস বলেন, ‘আমি সাত হাজার টাকা কেজি করে ১২ কেজি বীজ কিনেছি। আমাকে বলা হয়েছে ভারতীয় লাল তীর জাতের পেঁয়াজ। কিন্তু পেঁয়াজ লাগানোর পর গাছ মরে গেছে। আমরা খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

ধাওড়া গ্রামের মোকাদ্দেস আলী বলেন, ‘আমি তিন কেজি বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছি। শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আশরাফ মাস্টার, জাহাঙ্গীর হোসেন, রাজু আহমেদসহ অনেক কৃষকের সঙ্গে এই প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা এই প্রতারকদের শাস্তি ও  ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’

মোকাদ্দেস আরও বলেন, ‘চাষের সময় পার হয়ে গেছে। এখন নতুন করে চারা তৈরি করে চাষ সম্ভব নয়। প্রতারক বীজ ব্যবসায়ীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।’

এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান খান বলেন, ‘কৃষকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতারণার বিষয় সঠিক হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’