সড়কে লাশ হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

পাবনার রূপপুরের রাশিয়ান পল্লী ‘গ্রিন সিটি’ দেখার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে কয়েকজন বন্ধুসহ রওয়ানা দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেদোয়ান ইসলাম রুপম (২৩)। পথে পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মালিগাছা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন তিনি। তার মোটরসাইকেলে থাকা অমিত হোসেন (১৫) নামে আরও একজনকে রাজশাহীতে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে পাবনার মালিগাছা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রুপম পাবনা পৌর এলাকার গোপালপুর মহল্লার মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শেষ বর্ষের ছাত্র।

গুরুতর আহত অমিত পৌর এলাকার কুটিপাড়ার মানিক হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, সন্ধ্যার পরে হতাহতরা নিজেদের মোটরসাইকেল নিয়ে রূপপুর গ্রিন সিটির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে  বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা স্থানীয় একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাভার্ডভ্যান তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় জনতা ঘাতক কাভার্ডভ্যানকে আটক করলেও চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘ঘটনাটি পাবনা সদর থানা এলাকার মধ্যে হলেও এটি মহাসড়কের সড়ক দুর্ঘটনা। সেই কারণে পাকশী হাইওয়ে থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলসহ ঘাতক ট্রাক জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ। একজনের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে, অপরজনকে রাজশাহী নেওয়া হয়েছে।’

পাবনা-ঈশ্বরদী-পাকশী হাইওয়ে থানার ওসি আশীষ কুমার সান্যাল বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পাওয়ামাত্র আমাদের ফোর্স সেখানে পৌঁছায়। ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও তার সহযোগী পালিয়েছে। এই সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’