পেট কেটে বের করা হলো ১০৯ ডিম

কক্সবাজারে একটি মৃত সামুদ্রিক কচ্ছপের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে পেট কেটে বের করা হয়েছে ১০৯টি ডিম। এসব ডিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। তারা ময়নাতদন্তে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে জানান, কচ্ছপটির উপকূলে ডিম পাড়তে আসার পথে জেলেদের জালে আটকে বা দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হতে পারে।

বোরির সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ভেসে এসেছে মা কচ্ছপের মরদেহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে অলিভ রিডলে প্রজাতির কচ্ছপটি উদ্ধার করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। প্রায় ৩০ কেজি ওজনের মা কচ্ছপটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ২ ফুট ৩ ইঞ্চি। এর বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। পেটে ১০৯টি ডিম ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে কচ্ছপটির দেহ ও ডিম গবেষণার জন্যে বোরির ল্যাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বোরির মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর পারভেজ জানান, বুধবার রাতে কচ্ছপটি ভেসে আসার খবর দেন জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম মৃত সামুদ্রিক কচ্ছপটি উদ্ধার করে বোরিতে নিয়ে আসেন।’

বোরির মহাপরিচালক জানান, প্রজনন মৌসুম হিসেবে মা কচ্ছপটি ডিম পাড়তে সমুদ্র উপকূলে আসতে চেয়েছিল। সাগরে কোনও জলযান বা জেলেদের জালে আটকা পড়ে এটি আঘাত পায়। বৃহস্পতিবার বিকালে কচ্ছপটির মৃত্যুর কারণে অনুসন্ধানের জন্য ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সমুদ্র উপকূলে ডিম পাড়তে এসে প্রায়ই সামুদ্রিক কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণী মারা পড়ছে।’

এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ইনানী সৈকতের শফিরবিল এলাকায় একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন ও কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছিল। এ নিয়ে গত তিন মাসে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে কমপক্ষে ৩০টি সামুদ্রিক কচ্ছপ মারা পড়েছে।