সৌদিতে বাস দুর্ঘটনা

রোজার বিশেষ ছুটিতে ওমরাহ করতে যাচ্ছিলেন নজরুল

সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১২ বাংলাদেশির মধ্যে একজনের বাড়ি যশোরের সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ঘুণি মাঠপাড়া গ্রামে। তার নাম নজরুল ইসলাম (২৮)। 

সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাসটি খাদে পড়ে আগুন ধরে ২৪ জন নিহত হন। নিহতের মধ্যে যশোরের নজরুল ছিলেন। 

এ দুর্ঘটনায় ঘুণি শাখারিপাড়া এলাকার কাজী আনোয়ার হেসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন (৩২) এবং ঘুণি মাঠপাড়া এলাকার গফ্ফার মোল্যার ছেলে রাসেল মোল্যা ওরফে সুমন (২৮) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মোশাররফের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তার স্বজনরা। ওই দুর্ঘটনায় তাদেরই আত্মীয় মাদারীপুরের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইছাহক মাতব্বরের ছেলে রুহুল আমিন রনি (৩২) নিহত হন।

নজরুল ইসলামের বড়ভাই কামরুল হোসেন বলেন, ‘এক বছর ২৬ দিন আগে আমার ছোটভাই নাজমুল সৌদি আরব যায়। সৌদি আরবের আভা খামিজ এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। সোমবার রোজার মাসের বিশেষ ছুটিতে নাজমুল দূরসম্পর্কের ভাগ্নে রনি, মোশাররফ ও সুমনসহ ৪৭ জন একটি বাসে ওমরাহের উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় নাজমুল ও রনি মারা যায়। আহত হয় অপর দুই ভাগ্নে আমাদেরই এলাকার মোশাররফ ও সুমন।’  
সুমনের মা হাসিনা বেগম বলেন, ‘আজ ভোরেও ফোনে কথা হয়েছে ছেলের সঙ্গে। দুর্ঘটনায় তার শরীর পুড়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে সে এখন বাসায় রয়েছে। তবে, মোশাররফের অবস্থা বেশি একটা ভাল নয়। সে বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছে। তার সঙ্গে পরিবারের কেউই কথা বলতে পারেনি।’

লাশ দেশে ফেরত আনার বিষয়ে নাজমুলের বড়ভাই কামরুল হোসেন ও মাদারীপুরের রুহুল আমিন রনির বড়ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, সেখানে তাদের আরও আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। লাশ আনার বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা লাশ দেশে আসার চেষ্টা করবো।’ 

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ‘নিহতের স্বজনদের প্রতি আমাদের সমবেদনা। তারা যদি আমাদের কাছে কোনও সহযোগিতা চান, আমরা তা পূরণের চেষ্টা করবো।’