‘সংখ্যালঘু’ শব্দটা মুছে ফেলতে হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘অনেকে নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন। এ শব্দটা মুছে ফেলতে হবে। কারণ বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, তখন কিন্তু হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং আমরা বাঙ্গালী হিসেবে ঐক্যবদ্ধ।’ 

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভেতরে ভেদাভেদের কোনও প্রশ্ন আসতে পারে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে চাই, বাঙ্গালী হিসেবে থাকতে চাই। এদেশে বসবাসের জন্য সবারই সমঅধিকার রয়েছে। এ অধিকার আদায়ে আমরা সচেষ্ট থাকবো। বাঙ্গালী হিসেবেই আমরা যার যার অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। এটাই হলো আমাদের থিউরি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাইকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে। মোবাইলে স্ট্যাটাস দেওয়ার সময় অবশ্যই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এমন কোনও স্ট্যাটাস দেওয়া যাবে না যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে কোনও ধরনের আঘাত আসে।’

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেকে মনে করেন কি করে এটা সম্ভব যে আমেরিকার মতো এ দেশ হবে, রাশিয়ার মতো এদেশ হবে, সুইজারল্যান্ডের মতো এ দেশ হবে। আসলেই এটা সম্ভব। আমাদের ১০টি মেগা প্রকল্প আছে। আজকে এক পদ্মা সেতু থেকে আমাদের দৈনিক আয় ৩ কোটি টাকার উপরে। এতে বছরে যে অংক দাঁড়ায়, একসময় আমাদের দেশের বাজেটও এতো টাকা ছিল না। এবার চালু হয়েছে মেট্রোরেল।’ 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি চালু হলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে দূরত্ব কমে যাবে প্রায় অর্ধেক। এতে জ্বালানী খরচ অর্ধেক কমে যাবে, সময়ও লাগবে অর্ধেক। বাকি অর্ধেক সময় মানুষ অন্যকাজে লাগাতে পারবে। এ ছাড়া টানেল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে নেওয়া টোল যোগ হবে। আরও ৭টি মেগা প্রকল্প যখন হয়ে যাবে তখন আমাদের জিডিপির হার বেড়ে যাবে বর্তমান সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।’

তিনি বলেন, ‘দেশ যখনই এগিয়ে যায় তখনই এক শ্রেণীর মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’ 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান।