শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে মোটরসাইকেল পার করবে ফেরি

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) সকাল থেকে লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এই নৌপথে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুটি ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘শনিবার সকালে বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফেরিঘাট ও নৌপথের চ্যানেল পরিদর্শন করেছেন। চ্যানেলের নাব্য সংকট এরমধ্যেই নিরসন করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মিডিয়াম ফেরি কুঞ্জলতা ও কে-টাইপ ফেরি কুমিল্লা দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে। এরইমধ্যে পন্টুন, চ্যানেলসহ যাবতীয় বিষয় প্রস্তুত করা হয়েছে। দুটি ফেরির প্রস্তুতি থাকলেও চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।

তিনি আরও জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ এই নৌপথে বাড়ি ফিরবে। ঈদ পরবর্তী প্রয়োজন সাপেক্ষে এবং নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফেরিতে মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে। শিমুলিয়ায় মোট চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপারে ভিআইপি ফেরিঘাট (৪নং) ব্যবহার করা হবে। মোটরসাইকেল পারাপারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।

এদিকে, নিরাপত্তার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও পবিত্র ঈদুল ফিতরে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলের অনুমতি দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পত্রে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পদ্মা সেতুর ২২ ও ২৩ এবং ৩৮ ও ৩৯ পিলারের মধ্য দিয়ে ফেরি সার্ভিস চালানোর অনাপত্তি প্রদান করে সেতু কর্তৃপক্ষ।

মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষ যেন নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন সেজন্য আগামী ২৬ রোজা থেকে সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া থেকে পদ্মা সেতু ও শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের একাধিক টিম মোতায়েন থাকবে। আমাদের জেলা পুলিশের পাশাপাশি থাকবে হাইওয়ে পুলিশ ও নৌপুলিশ।’