পরীক্ষা চলছে তাঁবুর নিচে

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের ঘর কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে। ঘরটি মেরামতের সহযোগিতা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। 

এলাকাবাসী জানায়, সমাজের হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত, শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামপুর পৌর শহরের পূর্ব ভেঙ্গুরা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি ২০১৬ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে অন্তর্ভুক্ত হয়।

বিদ্যালয়ের কাগজপত্র থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৮ জন। এরমধ্যে ৭০ জন ছাত্র ও ৬৮ জন ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে পাঁচ জন শিক্ষক ও একজন দফতরি কর্মরত। 

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, গত ১৬ মে রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়টির পুরো ঘর। যার ফলে শিক্ষার্থীদের সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে তাঁবু টানিয়ে।

পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী হোসনে আরা শিল্পী এবং চতুর্থ শ্রেণির বন্নি আক্তার জানায়, স্কুল ঘর ঝড়ে ভেঙে গেছে। তাঁবুর নিচে পরীক্ষা দিতে আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, ‘১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের টিনসেট ঘরটি পুরোটাই ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। তাঁবু টানিয়ে কোনও রকমে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। ঘরটি মেরামতের জন্য ইউএনও স্যারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ফেরদৌস বলেন, ‘বিদ্যালয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষার অধীনে আমাদের অধীনে নয়। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’

ইউএনও মু. তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’