ভারত থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে এলো ১০৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

অবশেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার (৫ জুন) আমদানির প্রথম দিনে এ বন্দর দিয়ে ৫৬টি ট্রাকে ১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে রবিবার পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় সরকার। 

সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, ‘সোমবার বিকাল থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ শুরু করেছে। আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র পেলেই ট্রাক প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।’ 

জানা যায়, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ায় সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখে। ফলে পণ্যটির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় বাজারে পেঁয়াজের দাম। বাজারে ভোক্তা অধিদফতর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও পণ্যটির দামের লাগাম টানা য়ায়নি।
 
‘সোমবার বিকাল থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ শুরু করেছেএদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল যে পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা এবং খুচরা বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা। সেই পেঁয়াজ আজ বিক্রি হয়েছে পাইকারি ৭০ টাকা এবং খুচরা বিক্রি হয়েছে ৭২-৭৫ টাকায়। ফলে আমদানির ঘোষণায় একদিনের ব্যবধানেই দাম কমেছে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা। 

পেঁয়াজ আমদানিকারক মাসুদ রানা বলেন, ‘সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পর থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করি। বিকালের দিকে আমদানি শুরু হয়েছে। কয়েকজন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পুরোপুরি পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আশা করি পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’

আমদানির খবরে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানির প্রথম দিনে ১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ থেকে আরও বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হবে বলে আমরা আশা করছি।’ 

সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবুল হাসনাত দুরুল বলেন, ‘প্রতি টন পেঁয়াজ ১৫০-২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে ।’ 

দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ পেঁয়াজ এসেছিল এই বন্দর দিয়ে। এরপরই বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।