তারাকান্দা উপজেলা নির্বাচনে আড়াই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে চার শতাংশ

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আড়াই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে চার শতাংশ। এই তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সকালে বৃষ্টি থাকার কারণে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চার শতাংশ ভোট পড়েছে। 

তিনি আরও জানান, ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। আকাশের অবস্থা ভালো হলেই ভোটার উপস্থিতি বাড়বে। বেশ কিছু কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেওয়ার খবর পেয়েছিলাম, কিন্তু সেই কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। 

উপজেলার বকশিমুল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের ভোটার আবুল হাশেম বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। তবে বৃষ্টির কারণেও ভোটার সংখ্যা অনেকটা কম।’

তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুল হক, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগর শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) নুরুজ্জামান সরকার বকুল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এ মাসুদ তালুকদার এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মণ্ডল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন লড়ছেন। 

এ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৫০ এবং নারী ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৫৪ জন। মোট ১০৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারাকান্দা উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২০০ জন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭০টি।

এখানকার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মুসলিম উদ্দিন বলেন, ‘সকালে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল তবে আস্তে আস্তে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে। ইভিএমে ভোট হওয়ায় মহিলা ভোটাররা বিষয়টি বুঝতে না পারায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।’ 

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. ফজলুল হক বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে সময় যতো গড়াবে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’

এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার বকুল মাস্টারের সঙ্গে কথা বলতে মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।