তিস্তার পানি বাড়ায় নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজানের ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে তিস্তার পানি। এতে নীলফামারীর ডিমলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষরা। চর এলাকায় বসবাসরত লোকজন উঁচু এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন বাঁধের ওপর।

সোমবার (১৯ জুন) তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখাড়বাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

উজানের ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডিমলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় ওই পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ওই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের স্লুইচ গেইট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নূরুল ইসলাম জানান, রবিবার (১৮ জুন) থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডালিয়ায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে পানি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া ডিভিশনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) আমিনুর রশিদ বলেন, ‘উজানের ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল এবং গত দুই দিনের বৃষ্টির ফলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। এ ছাড়াও স্থানীয় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাফ উদ্দৌলা বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট (স্লুইচ গেট) খুলে রাখা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব সময় সতর্ক রয়েছে পাউবো।’