রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা

তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা। তিন দিন আগে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৬০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ২০০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ রসুনের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষজন। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় পণ্যটির দাম বেড়েছে। 

হিলি বাজারে রসুন কিনতে আসা ভ্যানচালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাজারে যে হারে মসলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে তাতে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষজনের মরণ ছাড়া কোনও উপায় নেই। রাতের ব্যবধানে যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে ঠিক সেইভাবে আমাদের তো আয় রোজগার বাড়ছে না। আমরা সারাদিন এই গরমের মধ্যে ভ্যান চালিয়ে ৫০০ টাকা আয় করতে পারছি না। সেই টাকা দিয়ে না চাল কিনবো না তেল কিনবো না পেঁয়াজ আদা রসুন কিনবো। প্রত্যেকটা পণ্যের দাম বাড়তি কোনও কিছুই ঠিকমতো কেনা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন করে এবার আদার দাম বাড়ছে।’

রসুন কিনতে আসা নিহার বানু বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে রসুনের দাম বাড়তি। ১০ দিনের ব্যবধানে দুদফায় কেজিতে ৮০ টাকা করে বেড়েছে। তিন দিন আগেও যে রসুন ১৬০-২০০ টাকা কেজি দরে কিনেছি, সেই রসুন আজ ২০০-২৪০ টাকা কেজি কিনতে হচ্ছে। বাড়তি দামের কারণে যতটুকু প্রয়োজন সেই পরিমাণ কিনতে পারছি না। বাধ্য হয়ে ক্রয়ের পরিমাণ কমায় দিতে হচ্ছে। বাজার করতে যে হিসেব করে টাকা নিয়ে আসছি তার কোনও হিসেব ঠিক থাকছে না।’

হিলি বাজারের রসুন বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই রসুনের দামটা ঊর্ধ্বমুখী, প্রতিদিন দাম বেড়েই চলছে। এর কারণ হলো দেশি রসুনের সরবরাহ কম। যার কারণে ভারত থেকে আমদানি করা রসুন দিয়ে দেশের বাজারের চাহিদা মিটাতে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ভারতের বাজারেই রসুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় বন্দর দিয়ে কয়েকদিন ধরে রসুন আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাজারে ভারতীয় রসুনের সরবরাহ নেই। এতে দেশি রসুন দিয়েই বাজারের চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। তবে বাজারে দেশি রসুনের যে সরবরাহ ছিল মৌসুম শেষের দিকে হওয়ার মোকামগুলোতে রসুনের সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমার কারণে মোকামেই এখন রসুনের দাম খানিকটা বাড়তি। প্রতিদিনই মোকামে রসুনের দাম বাড়ছে, আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। তেমনি বাড়তি দামেই বাজারে রসুন বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে ভারত থেকে রসুন আমদানি শুরু হলে দাম কমে আসবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দিনাজপুরের সহকারি পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। এ সময় কেউ যদি কোনও পণ্যের অহেতুক মূল্য বৃদ্ধি করে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আর্থিক জরিমানাসহ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’