কোর্টের হাজতখানায় আসামির রহস্যজনক মৃত্যু

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কোর্ট হাজতখানায় মইনুল ইসলাম (২৩) নামে এক আসামির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। হাজতখানা থেকে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত মইনুলের বাড়ি আরএমপির এয়ারপোর্ট থানার পাকুড়িয়া উত্তরপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মো. রফিক। মইনুলের মৃত্যুর সনদে লেখা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান হোসেন বলেন, ‘আসামি মইনুল একজন মাদকসেবী। গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে পাকুড়িয়া এলাকা থেকে ৪ গ্রাম হেরোইনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা করে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আদালতে পাঠানো হয়। কোর্ট হাজতখানা সুস্থ অবস্থায় আসামি গ্রহণ করেছে। তারপর কী হয়েছে তা জানি না।’

আরএমপির কোর্ট হাজতখানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বুধবার জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামিকে কোর্ট হাজতখানায় প্রবেশ করানো হয়। তাকে আদালতে তোলার প্রয়োজন হয়নি। বিকাল ৩টার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে হাজতখানায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আসামি। ৪টার দিকে তা দেখতে পেয়েই দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের দাবি, অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আসামির মৃত্যু হয়েছে।

মইনুলের মৃত্যুর পর তার মৃত্যু সনদে চিকিৎসক লিখেছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে সুরতহাল প্রতিবেদনে আত্মহত্যার কয়েকটি আলামত উঠে এসেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুমতাহিনা কবির।

মইনুলের মৃত্যুর ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। রাজপাড়া থানার ওসি রফিকুল হক বলেন, ‘মৃত্যুসনদে চিকিৎসক উল্লেখ করেছেন, হৃদরোগে আসামির মৃত্যু হয়েছে। আমরাও এটুকুই জানি। এখন মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।’