বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মেয়ের বাবাকে জরিমানা করলেন ইউএনও

রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল রানা। এ সময় মেয়ের বাবাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

শনিবার তারাগঞ্জ উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রাসেল বলেন, ‘আমার এলাকায় এক মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। গোপন সংবাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করাসহ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।’

ইউএনও জানান, শুক্রবার রাতে যে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের দোয়ালীপাড়া গ্রামে জনৈক সোহেল রানার মাদ্রাসা পড়ুয়া ১৪ বছরের কিশোরী মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, বেশ ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন চলছে। খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন চলছে। দুই শতাধিক নারী-পুরুষকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পরে তাৎক্ষণিক বাল্যবিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এ সময় কিশোরী মেয়ের বাবা সোহেল রানা তার মেয়েকে এত কম বয়সে বিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে ভুল স্বীকার করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সোহেল রানাকে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়।