ট্রাকচালক রুবেল হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেফতার

বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচালক রুবেল মোল্লা হত্যার প্রধান আসামি মিনহাজুল ইসলাম (২৪) গ্রেফতার হয়েছেন। র‌্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিনহাজুল হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

শুক্রবার দুপুরে প্রেস বিফ্রিংয়ে র‌্যাব কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আসামিদের ধরতে তাদের টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে নিহতের প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়ার ছেলে মিনহাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, একটি বাড়ি পাওয়ার লোভে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এর অংশ হিসেবে তিনি গত মঙ্গলবার রাতে চারটি ইয়াবা ট্যাবলেট এবং এক সহযোগীকে নিয়ে রুবেলের বাড়িতে যান। তিন জন ইয়াবা সেবনের একপর্যায়ে তারা দুজন রুবেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর মুখে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। মিনহাজুলকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশ ও এজাহার সূত্র জানায়, নিহত রুবেল মোল্লা (৩০) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাওলাপাড়া গ্রামের মৃত জামাত আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ব্যাপারে নিহতের মা জামিলা বিবি বুধবার শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

নিহতের বড় বোন মমতা বেগম, ভাই রজব আলী ও স্বজনরা দাবি করেন, রুবেল মোল্লার স্ত্রী সীমা বেগম প্রবাসী ননদাই এনামুল হকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দাম্পত্য কলহে সীমা একমাত্র ছেলেকে (৮) নিয়ে গত এক বছর ধরে পাশেই বাবা সুলতান মিয়ার বাড়িতে বসবাস করেন। তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হলেও কয়েকমাস আগে আবারও বিয়ে হয়। ওই সম্পর্কের কারণেই সীমা রুবেলকে হত্যা করান বলে তারা দাবি করেন।

শিবগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রউফ জানান, আসামিকে পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।