হিরো আলমকে ২ দিনের মধ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি

আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে দুদিনের মধ্যে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে তার হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে এক দুর্বৃত্ত এ হুমকি দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় হিরো আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে অজ্ঞাত এ ব্যক্তি তার হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে, “তুই সাবধানে থাকিস। কতটুকু লেখাপড়া করচোস, তুই আসিফ মাহতাব স্যারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলি যে। তুই আমার পরিচয় নিবি, নে। বল, আমি তোরে হুমকি দিচ্ছি। আমি তোরে মারমু এই দুই দিনের ভেতরে।” এরপর আরও গালিগালাজ করে। রাত ৩টা ২৫ মিনিটে মেসেজ দিয়ে বলে, “তোর কতটুকু শক্তি আছে আমি দেখমু।” একটা পিস্তলের ছবি পাঠিয়ে বলে, “প্রকাশ্যে তোরে গুলি করমু”।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় হিরো আলম ওই মেসেজ ও পিস্তলের ছবির স্ক্রিন শট পাঠিয়ে বলেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে কোনও বাজে মন্তব্য করিনি। বর্তমানে ঢাকার বাইরে আছি। ফিরে থানায় জিডি করবো।’

এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের কাছে আশ্রয় নেন। পালক বাবা তাকে সন্তানের মতো দেখেন। সংসারে অভাবের কারণে আলম সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ফেরি করে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরবর্তী সময়ে সিডি বিক্রি ও ডিশের ব্যবসা করেন। ২০০৮ সালে গানের মডেলিং শুরু করেন। পরের বছর বিয়ে করেন। তার সংসার দুই সন্তান ছেলে আবির ও মেয়ে আলো। তিনি এরুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দু বার সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেন। সেগুলো স্থানীয় ডিশ লাইনে প্রচারিত হয়। প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের পর তিনি গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন।

হিরো আলম গত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ান। গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) এবং বগুড়া-৪ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেন। সদরে জামানত হারালেও বগুড়া-৪ আসনে লড়াই করে পরাজিত হন। গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান।