প্রেমিকের বাড়ি কিশোরগঞ্জে এলেন মালয়েশিয়ার তরুণী, হলো বিয়ে

নয় বছর আগে কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ পৌর এলাকার মো. রেণু মিয়ার ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ (২৮)। ২০১৯ সালে সে দেশের কুয়ালালামপুর শহরে একটি দোকানে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় হয় মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতি বিনতে মিসকের সঙ্গে। এরপর শুরু হয় তাদের বন্ধুত্বের যাত্রা। ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। আর সেই প্রেমের টানেই ভিনদেশি তরুণী এখন করিমগঞ্জে।

জানা যায়, মালয়েশিয়ান তরুণী মিসনেওয়াতি বিনতে মিসকে (২৫) কুয়ালালামপুরের ক্যালকলামপরার সিরাম্বুল গ্রামের মিসকে বিন আলীর মেয়ে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এক মাসের ভিসা নিয়ে প্রেমিক দ্বীন মোহাম্মদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে আসেন তিনি। এদিকে, মালয়েশিয়ান তরুণীর আসার খবরটি ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের উৎসুক নারী-পুরুষ প্রতিদিনই তাকে দেখতে ভিড় করছেন।

দ্বীন মোহাম্মদের বড় ভাই খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই আমাদের সবকিছুই জানিয়েছে। মিসনেওয়াতি বিনতে মিসকে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পরে মোবাইল ফোনে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সবার সম্মতিতে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটি অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সবাইকে খুব আপন করে নিয়েছে।’

দ্বীন মোহাম্মদ তাদের প্রেম ও বিয়ে সম্পর্কে বলেন, ‘আসলে প্রেম-ভালোবাসা কখন কীভাবে হয়েছে, আমরা হয়তো তা বোঝাতে পারবো না। আমার সঙ্গে মিসনেওয়াতির সম্পর্ক ঠিক এমনি। হঠাৎ দেখা থেকে বন্ধুত্ব, তারপর ধীরে ধীরে আমরা নিজেদের ভালোবাসতে শুরু করি। তিন বছরের প্রেমের সম্পর্কের প্রতিফলন, ও আমার জন্য এ দেশে চলে এসেছে, আর আমরাও পরিবারের সম্মতিতে বিয়েতে আবদ্ধ হয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। কিছু দিন পর আমরা দুজনই আবার মালয়েশিয়ায় চলে যাবো।’