‘কোন দেশ কী বললো তা মুখ্য বিষয় নয়’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘কোনও কোনও দেশে ২০ পার্সেন্ট, ২৫ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়। এবার আমাদের নির্বাচনে ৪২ পার্সেন্ট কাস্ট হয়েছে। এরপরও যদি কেউ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তাহলে আর আমাদের কিছু বলার থাকে না। আমাদের একটি সংবিধান রয়েছে। এর ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য জনগণ ও দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। কাজেই কোন দেশ কী বললো তা মুখ্য বিষয় নয়। আমাদের মুখ্য বিষয় হলো, জনগণকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাব, গণতন্ত্রের চর্চাটা কীভাবে আরও সুন্দর করবো।’

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জেলা পুলিশ আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন সময় বিদেশিদের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দেশে গণতন্ত্রের চর্চা কীভাবে করে আপনারা সাংবাদিকরা তা জানেন। একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী সে চিন্তা করছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। যিনি পারবেন নির্বাচন করবেন। আমি মনে করি, যারা বলেন আমাদের দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই, তাদের দেশে কতটুকু রয়েছে সেটি নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে।’

নির্বাচনের পর বিএনপির আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন দল হয়ে পড়েছে। তারা জনগণের কথা চিন্তা করে না। তারা সব সময় চিন্তা করে, কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। তাদের যে নেতা সে ইংল্যান্ডে থেকে দিকনির্দেশনা দেয়। তাদের নেতাকর্মীদের কী হবে সেটিও তারা চিন্তা করে না। তাদের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাট বিভেদ হয়ে গেছে। আমরা মনে করি, যদি এই ভুল উপলব্ধিতে না আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে বলে আমার মনে হয় না।’

পরে মন্ত্রী জেলা পুলিশ আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ও মাদকবিরোধী সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূহুল আমীনের সঞ্চালনায় এবং পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম-২,৩ ও ৪ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্যরা এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে সাধারণ জনগণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।