কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য: রুয়েটের সাবেক ভিসি-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- রুয়েট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক উপাচার্য ড. মো. রফিকুল ইসলাম সেখ এবং একই বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো সেলিম হোসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর দিয়েছেন। তারা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ছয় জন সেকশন অফিসারের জায়গায় ১৩ জনকে নিয়োগ দেন। জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগের অনুমোদন এবং শূন্য পদ না থাকলেও সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের বিপরীতে জুনিয়র সেকশন অফিসার পদে নিয়োগ দিয়েছেন। পিএ টু ভিসি/ডিরেকটর পদে দুজনকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তিন জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ডাটাএন্ট্রি অপারেটর পদে একজনকে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেও দুজনকে, মালি পদে তিন জনের বিপরীতে সাত জনকে, ড্রাইভার পদে একজনের বিপরীতে তিন জনকে, সহকারী কুক পদে তিন জনের বিপরীতে পাঁচ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের মোট এক কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ১০৯ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এ বিষয়ে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ অনুসন্ধান শুরু করি। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে গত জানুয়ারিতে মামলা করার জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর গত সপ্তাহে দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগ থেকে তাদের নামে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মামলা করা হলো।’

তিনি আরও জানান, দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

রুয়েটের সাবেক ভিসি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ জানিয়েছেন, দুদকের মামলার বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। এ ছাড়া নিয়োগে কোনও অনিয়মও হয়নি। মামলা হলে আইনিভাবেই তা মোকাবিলা করবেন।