কুড়িগ্রাম সফরে এসে জিটুজি ভিত্তিক প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে তিনি কুড়িগ্রাম পৌঁছান। নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাজা। কুড়িগ্রামে তার সফরসঙ্গী ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজা ওয়াংচুক ঢাকা থেকে বিমানে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে সড়কপথে কুড়িগ্রাম পৌঁছান। দুপুর দেড়টার দিকে কুড়িগ্রামের ধরলা তীরবর্তী প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করেন। তিনি প্রায় ১৫ মিনিট অবস্থান করেন। পরে তিনি জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর পথে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মহামহিম রাজা এই জায়গাটিকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। জায়গাটি পরিদর্শনে এসে তিনি তার পছন্দের কথা জানিয়েছেন। যৌথ উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হবে। কীভাবে এটি বাস্তবায়ন করা যায়, যত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করা যায়- সে ব্যাপারে তিনি তাগিদ দিয়েছেন। তিনি এটিও বলেছেন যে, “যখন কাজ শুরু হবে আমি নিজে আরও একবার কাজটি পরিদর্শন করতে এখানে (কুড়িগ্রামে) আসবো।” তিনি এখানকার জায়গা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হয়েছেন।’
প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন কালে ভুটানের রাজার সঙ্গে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম পৌর মেয়র কাজিউল ইসলামসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা সদরের ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর খাস জমি অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্ব দিকে এই খাস জমির অবস্থান। প্রয়োজনে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণেরও সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।